যে দম্পতি মহান আল্লাহর রহমত লাভ করে

৩ সপ্তাহ আগে
মহান আল্লাহ জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। স্ত্রীর কাছে যে স্বামী উত্তম তাকেই উত্তম ব্যক্তি হিসেবে হাদিসে আখ্যায়িত করা হয়েছে। মহান আল্লাহ যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি করেছেন এটি তার নিদর্শন বলে তিনি ঘোষণা করেছেন। ‘তাঁর নিদর্শনের মধ্যে হল এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিণী সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা তার কাছে শান্তি লাভ করতে পার আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এর মাঝে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা চিন্তা করে।’ (সুরা রুম, আয়াত: ২১)

রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে স্বামীকে উত্তম স্বামী হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম, আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের কাছে সর্বোত্তম ব্যক্তি। (তিরমিজি ৩৮৯৫)

 

তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অনুধাবন করে যে ব্যক্তি নিজে তা আদায় করে এবং স্ত্রীকেও তাহাজ্জুদ পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তার প্রতি মহান আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। এ বিষয়ে এক হাদিসে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

 

মহান আল্লাহ ওই পুরুষকে রহমত করুন, যিনি রাতে নামাজ আদায়ের জন্য জাগ্রত হলেন এবং তার স্ত্রীকে জাগালেন তারপর যদি স্ত্রী জাগতে গড়িমসি করে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলেন। একইভাবে আল্লাহ ওই নারীকে রহমত করুন যিনি রাতে নামাজ আদায়ের জন্য জাগ্রত হলেন এবং তার স্বামীকে জাগালেন তারপর যদি স্বামী জাগতে গড়িমসি করে তার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৮, ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৬)

 

আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর আচরণ কেমন হবে?


আরেক হাদিসে এসেছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

 

যদি কোনো ব্যক্তি রাতে জেগে তার স্ত্রীকে জাগিয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করে তাহলে তারা দু’জনের নাম অধিক হারে আল্লাহর জিকরকারী পুরুষ ও জিকরকারি নারীদের মধ্যে লেখা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩০৯; ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৩৩৫)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন