এক অডিও বার্তায় শিখা বলেন, ‘এটা (বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো) এই জন্য করা হয়েছে যে, এই ব্যাংকগুলোতে নিরীক্ষা চালাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এগুলোতে যে অডিট পরিচালিত হবে সেখানে উনারা যাতে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে না পারেন অর্থাৎ এই প্রক্রিয়াটাকে স্বচ্ছ রাখার জন্য এমডিদেরকের সাময়িকভাবে ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে।’
অডিটে যদি কারো কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা যদি না মেলে তাহলে তিনি যথারীতি এসে আবার যোগদান করতে পারেন বলে জানান শিখা। তিনি বলেন, ‘তবে যদি কিছু পাওয়া যায় তাহলে অন্যরকম চিন্তা করতে হবে।’
এই পুরো বিষয়টি আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী করা হচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বাধ্যতামূলক ছুটিতে ৬ ব্যাংকের এমডি
যেসব ব্যাংকের এমডিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো- এক্সিম, ইউনিয়ন, আইসিবি ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, এসআইবিএল ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
ঋণ কেলেঙ্কারি ও নানা অনিয়মে তারল্য সংকটে পড়ে খাদের কিনারায় থাকা ব্যাংকগুলো নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এসব ব্যাংকের কেলেঙ্কারির তথ্য উদঘাটনে শিগগিরই ‘ফরেনসিক অডিট’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাক্সফোর্স।
একটি নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া সবধরনের লেনদেন যাচাই-পর্যালোচনা ও কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়েছি কি না, তা দেখতে এই ফরেনসিক অডিটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাক্সফোর্স। সেই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকও।