যুবাদের হকি বিশ্বকাপ নিয়ে ফেডারেশনের বড় পরিকল্পনা

২ সপ্তাহ আগে
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ হকি দল। গত জুনে সিঙ্গাপুরে এএইচএফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জুনিয়র এশিয়া কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। তারপর নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওমানে এশিয়া কাপে পঞ্চম হয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেয় যুবারা। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে ২৪ দল নিয়ে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের আসর।

স্বাগতিক ভারতসহ ১৮টি দল এরইমধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে। দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, আর্জেন্টিনা, কানাডা, চিলি, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, চীন, জাপান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। 

 

আসরে ৩টি করে দল আসবে ওসেনিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চল থেকে। ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি হবে জুনিয়র ওসেনিয়া কাপ এবং ১৮ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে জুনিয়র আফ্রিকা কাপ। এ দুটি প্রতিযোগিতা থেকেই বিশ্বকাপে আসবে বাকি ৬টি দল। 

 

আরও পড়ুন: বিখ্যাত আম্পায়ার নাজিব রাসেলের স্মরণে ঢাবিতে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট

 

বিশ্বকাপ শুরু হতে এখনও অনেক দেরি। প্রায় এক বছরের মতো সময় আছে। তবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন এখন থেকেই বিশ্বকাপ প্রস্তুতির রোডম্যাপ তৈরি করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। নতুন অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক লে. কর্ণেল রিয়াজুল হাসান (অব.) ছেলেদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগে যুব দলের জন্য ৬ মাসের নিবিঢ় অনুশীলন কার্যক্রম চালাতে চান তিনি। সেজন্য বিদেশি কোচসহ শক্তিশালী কোচিং স্টাফ তৈরি করার পরিকল্পনা আছে ফেডারেশনের। তবে এত অর্থ কোথা থেকে আসবে, তার জন্য কাজও শুরু করে দিয়েছে ফেডারেশন। 

 

হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমরা ৫ থেকে ৬ মাস আগে যুব দলের অনুশীলন শুরু করবো। একটি ভালো কোচিং প্যানেল থাকবে। আমরা ফান্ড সংগ্রহের চেষ্টা করছি। পেলে কোচিং প্যানেলের জন্য বিদেশি কোচ আনার পরিকল্পনা আছে। দেশের বাইরে গিয়ে অথবা বিদেশি দল এনে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবো। যুব দলের অনুশীলনের বিষয়ে আমাদের কোনো ঘাটতি থাকবে না।’ 

 

আরও পড়ুন: রেসলিং কিংবদন্তি রে মিস্টেরিও আর নেই

 

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে বিজয় দিবস হকি দেখতে এসেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাহবুব হারুন। তখন তিনি বলেছেন, ‘যুব দলের জন্য লম্বা প্রস্তুতির ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেটা কেবলই গতানুগতিক নয়। খাওয়া-দাওয়া, আবাসনসহ সব সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে উন্নতমানের। বিদেশি দলের বিপক্ষে বেশি বেশি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলো ইউরোপের দেশের বিপক্ষে হলে ভালো হবে। এক কথায় পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে বিশ্বকাপের মতো আসরে।’ 

 

গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওমানের মাসকাটে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ পঞ্চম হয়েছিল। সেই আসরে তারা পেছনে ফেলেছিল চীন ও কোরিয়ার মতো দলকে। বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের একটি জিতেছে, একটি হেরেছে এবং দুটি ড্র করেছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন