এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার। তিনি জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। ঢাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করছিলেন। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে হত্যাসহ একাধিক মামলায় তিনি অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: যুবলীগের সেই মতিন সরকারের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
এরআগে গত ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করেন বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালত। বগুড়ার এক সময়ের যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন সরকার এবং তার ছোট ভাই শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে শাসক দলের কতিপয় নেতার ছত্রছায়ায় জেলাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিই ছিল তাদের মূল পেশা। কেউ বাধা দিলেই তাকে হত্যা করতেও দ্বিধা করতো না।
দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে। ইতিপূর্বে একটি অস্ত্র মামলায় আব্দুল মতিন সরকারের ২০ বছরের সাজা হয়। সেই সাজার বিরুদ্ধে আব্দুল মতিন সরকার উচ্চ আদালতে আপিল করে।
আরও পড়ুন: ভারতে পালানোর সময় যুবলীগ নেতা যুবায়ের আটক
এ ছাড়াও ভালো কলেজে ভর্তির প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং তাকে ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে পুলিশ তুফানকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। সেই ‘তুফানকাণ্ডের’ পর আব্দুল মতিন সরকারও গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছিল। ওই ঘটনার পর শ্রমিক লীগের বগুড়া শহর কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে তুফান সরকারকে এবং শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আব্দুল মতিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়।