জানা গেছে, গত ১৪ মে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আহত জুলাই যোদ্ধা হিসেবে ‘সি ক্যাটাগরিতে’ এক লাখ টাকার চেক দেয়া হয় মিনারুলকে।
তার চেকপ্রাপ্তির ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় সমালোচনা। এ ঘটনায় নড়ে বসেছে জেলা প্রশাসনও। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমারকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি।
জেলা প্রশাসন বলছে, মিনারুল নামের ওই ব্যক্তি সরাসরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় থেকে তার আবেদন যাচাই-বাছাই করে গেজেট প্রকাশ করে চেক খুলনায় পাঠানো হয়েছিল। এ জন্য তার আবেদন বা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে খুলনায় কোনো তথ্য নেই।
আরও পড়ুন: ৫৯ লাখ টাকা অনুদান পেল চাঁদপুরের ৩০ শহীদ পরিবার
জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নগরীর শহীদ হাদিস পার্ক এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে পালাতে গিয়ে আহত হন মিনারুল।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, রোববার (১৮ মে) রাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অনুদানও ফেরত নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
]]>