ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মিকোলাইভ ও দিনিপ্রোতে জেটচালিত গ্লাইড বোমা দিয়ে নতুন ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্র, রেললাইন ও সামরিক স্থাপনা।
কিয়েভ বলছে, গত এক সপ্তাহে রাশিয়া প্রায় ১৮০টি গ্লাইড বোমা নিক্ষেপ করেছে। আর সেগুলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নাগালের বাইরে থেকে হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
থেমে নেই ইউক্রেনও। ব্রিয়ান্সক ও বেলগোরোদ অঞ্চলে পাল্টা ড্রোন হামলায় আগুন ধরে গেছে রুশ তেলঘাঁটি ও গোলাবারুদ ডিপোতে। ইউক্রেনীয় বাহিনী বলছে, রাশিয়ার সরবরাহ শৃঙ্খল ভাঙা এবং ফ্রন্টলাইনে চাপ তৈরি করাই এসব হামলার উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: ‘পুতিন তোমাকে ধ্বংস করে দেবে’, জেলেনস্কিকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প
চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেন যুদ্ধ জিতবে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বলেছেন, ‘এখন সময় শান্তির’। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যে কিয়েভের মনে জমেছে ক্ষোভ। আর ট্রাম্পের এমন বক্তব্যকে তার বাস্তবতাবোধ আখ্যা দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে ক্রেমলিন।
এর আগে, রাশিয়ার শর্ত মেনে এখনই যুদ্ধ শেষ করতে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আহ্বান জানান ট্রাম্প। যুদ্ধ শেষ করতে দনবাসের কিছু অংশ রাশিয়ার হাতে ছেড়ে দিতে হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছেন, ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো শান্তি নয়। তার মতে, ট্রাম্পের দ্রুত সমাধান পরিকল্পনা মানে যুদ্ধবিরতির আড়ালে রুশ নিয়ন্ত্রণকে বৈধতা দেয়া।
এদিকে, লন্ডনে ইউক্রেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন ইউরোপীয় ও ন্যাটো নেতারা। বৈঠকে তারা সতর্ক করে বলেছেন, শান্তি আলোচনার নামে ইউক্রেনকে কোনোভাবে চাপ দেয়া যাবে না। তবুও ট্রাম্প প্রশাসন গোপনে পুতিনের সঙ্গে ‘বুদাপেস্ট-২’ নামে নতুন সমঝোতার খসড়া প্রস্তুত করছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিমানে বসে বিক্ষোভকারীদের ওপর মলত্যাগের এআই ভিডিও দিলেন ট্রাম্প!
বোমা, ড্রোন আর কূটনীতির দোলাচলে ইউক্রেন যুদ্ধ এখন এক অনিশ্চিত সন্ধিক্ষণে। তাই শান্তির ভাষা আর ক্ষমতার হিসাব ক্রমেই একে অপরের জায়গা দখল করছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·