স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারও (১৩ নভেম্বর) গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর থেকে গত একমাসে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি।
অধিকৃত পশ্চিমতীরেও অব্যাহত আছে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলা ও অভিযান। হেবরনের উত্তরাঞ্চলে বেইত উমর শহরে দখলদারদের গুলিতে কয়েকজন শিশু নিহত হয়। আনতাবা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের লড়াই ও কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। জেরুজালেমে দখলদারদের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হন অনেকে।
এদিকে, নেতানিয়াহু বাহিনীর আগ্রাসনের মধ্যেই গাজা থেকে আরও এক জিম্মির মরদেহ ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যত দ্রুত সম্ভব জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শেষ করতে সংগঠনটি কাজ করছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজাবাসীর জন্য আতঙ্কের নাম এখন ‘ইয়েলো লাইন’
শীতের ঝড় আসার কারণে হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে গাজার রাফাহ শহরে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। তাবু ও ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর কাছে শীত ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এখনই পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি গুরুতর মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দুর্নীতি মামলায় নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করতে ইসরাইলের প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠানোয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে শুধু ক্ষমা পাওয়ার জন্য দোষ স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
]]>
৩ দিন আগে
৩








Bengali (BD) ·
English (US) ·