স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্ডো পিরেস বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি বাড়িতে বৃহস্পতিবার ইসরাইলি বিমান হামলায় এক নবজাতক কন্যাশিশু। এছাড়াও এক দিন আগে ইসরাইলি বাহিনীর বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় আরও সাত শিশু নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা বহুবার বলেছি, এগুলো শুধুমাত্র সংখ্যা নয়। প্রতিটি শিশু ছিল একটি পরিবার, একটি স্বপ্ন, একটি জীবন যা হঠাৎ করেই সহিংসতায় শেষ হয়ে গেছে।
২০২৩ সালে অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ৬ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
আরও পড়ুন: গাজায় ৭ কিমি লম্বা, ৮০ কক্ষের ‘জটিল টানেলের’ সন্ধান (ভিডিও)
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার গাজা উপত্যকার তুফ্ফাহ ও শুজাইয়ার মতো উত্তরের এলাকাগুলোতে ৩০০ মিটার ভেতর পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে ইসরাইলি সাঁজোয়া যান।
গাজা সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইয়েলো লাইন পশ্চিম দিকে ঠেলে সামরিক অঞ্চল ইচ্ছাকৃতভাবে বড় করছে দখলদার বাহিনী। এতে নিরাপদ ভেবে থাকা পরিবারগুলো আবারও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মোতায়েনের পরিকল্পনা: আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনী আসলে কী?
অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমের কাফর আকাবে ফিলিস্তিনি কিশোরদের গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। নাবলুসের কাছে থাকা এক বাসিন্দাকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে লাশ নিয়ে যায় সেনারা। রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদেরও ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেয়নি তারা।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, তুবাস, জর্ডান ভ্যালি, বেথলেহেম সব জায়গায় রাতভর অভিযান, গ্রেফতার আর টিয়ার গ্যাসে অসুস্থ মানুষদের সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়া অবৈধ ইসরাইলি বসতিস্থাপনকারীরা হুওয়ারা ও আবু ফালাহ এলাকায় বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
]]>
১ দিন আগে
৩






Bengali (BD) ·
English (US) ·