যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যস্থতায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গাজায় দ্বিতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে একমত হয় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। কাতারি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজের প্রতিবেদন মতে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর প্রশংসা করেন।
খামেনি বলেছেন, ‘ইতিহাসে লেখা থাকবে যে, গাজায় একসময় একদল উন্মত্ত জনতা (ইসরাইল) হাজার হাজার শিশু ও নারীকে হত্যা করেছিল। সবাই উপলব্ধি করবে যে, গাজাবাসীর ধৈর্য এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের দৃঢ়তাই ইহুদিবাদী সরকারকে পিছু হটতে বাধ্য করেছিল।’
আরও পড়ুন: গাজাকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে সব করবে তুরস্ক: এরদোয়ান
যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরও (আইআরজিসি)। বৃহস্পতিবার আইআরজিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-আকসা তুফান অভিযানের ১৬ মাস পর এবং হাজার হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যাকারী ইসরাইলি নৃশংসতার পর হামাস ও ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ইহুদিবাদী সরকারকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধের সমাপ্তি এবং ইহুদিবাদী সরকারকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করার ঘটনা ফিলিস্তিনের জন্য একটা স্পষ্ট বিজয় এবং দানবীয় ইহুদিবাদী সরকারের জন্য একটি বড় পরাজয়।’
গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনে বেশিরভাগ আরব দেশ চুপ থাকলেও হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ইরান। ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শুরু থেকেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর পাশে ছিল খামেনির দেশ। এমনকি দুই দুইবার ইসরাইলের ভেতরে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় তেহরান।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করলেন নেতানিয়াহু
]]>