যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান: তুরস্ক

৩ সপ্তাহ আগে
অবশেষে যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) থেকে পুনরায় কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

আলোচনার পর এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, শান্তিরক্ষায় আরও বিস্তারিত নিয়ম নির্ধারণ করা হবে। যা আগামী ৬ নভেম্বরের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। দুদেশের মধ্যে কোন একটি শর্ত ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

 

শান্তি রক্ষার আলোচনায় দুদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করে পাকিস্তান ও আফগানে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে তুরস্ক ও কাতার সরকার।

 

আরও পড়ুন: তালেবানকে আবার গুহায় ফিরে যেতে বাধ্য করব, পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি

 

সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে চলতি মাসের শুরুর দিকে তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান ও আফগান তালেবান। যা ২০২১ সালে তালেবানদের কাবুল দখলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ বলে বিবেচিত হচ্ছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন।


সহিংসতার পুনরাবৃত্তি রোধে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তির পর গত ১৯ অক্টোবর কাতারে প্রথম দফায় আলোচনা হয়। এরপর শনিবার (২৫ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় বসে পাকিস্তান-আফগানিস্তান।

Joint Statement on the Talks Between Afghanistan and Pakistan Through the Mediation of Türkiye and Qatar https://t.co/y1SH30i88Q pic.twitter.com/wH4GW3SC9k

— Turkish MFA (@MFATurkiye) October 30, 2025

 

কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যস্থতাকারী তুরস্ক ও কাতারের অনুরোধে দেশ দুটি বৃহস্পতিবার পুনরায় আলোচনা শুরু করেছে। যাতে এটি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় যে, সীমান্ত সংঘর্ষে আর জড়াবে না দুই দেশ।

 

আরও পড়ুন: সমাধান ছাড়াই শেষ পাক-আফগান শান্তি আলোচনা, এখন কী হবে?

 

এদিকে পাকিস্তানের তালেবানকে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর সামাজিক মাধ্যম এক্সে এ হুমকি দেন তিনি।

 

বুধবার (২৯ অক্টোবর) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে  বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর অনুরোধে পাকিস্তান শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু কিছু আফগান কর্মকর্তার ছলনাময়ী বক্তব্য স্পষ্টত তালেবান শাসনের কৌশলী ও বিভক্ত মনোভাবের প্রতিফলন।’


তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে আপনাদের বিশ্বাসঘাতকতা ও উপহাস সহ্য করেছি, কিন্তু আর নয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা বা কোনো আত্মঘাতী বোমা হামলার দুঃসাহসিক কাজের উপযুক্ত জবাব পাবে। নিজেদের বিপদ ও ধ্বংসের জন্য চাইলে আপনারা আমাদের সংকল্প ও ক্ষমতা পরীক্ষা করতে পারেন।’

 

খাজা আসিফ বলেন, ‘তালেবানি শাসনকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করতে আমাদের অতি সামান্য সামরিক শক্তিই যথেষ্ট। আমরা তাদের আবারও গুহায় ফিরে যেতে বাধ্য করব। যদি পরিস্থিতি তেমন হয়, তবে তোরা বোরার মতো তাদের পতনের দৃশ্য আবারও দেখা যাবে।’

 

তথ্যসূত্র: জিও নিউজ
 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন