তিনি বলেছেন, হামলার শুরুতেই ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্দেশনা দিয়েছিলেন, যেন পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনা বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্যবস্তু করে কোনো হামলা চালানো হয়। সংঘাতের প্রায় এক মাস পর সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় এক সেমিনারে এসব কথা বলেন ভারতের নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে গত ৭ মে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত। ওইদিন পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালালে তাতে ভারতের কয়েকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়।
পাকিস্তানের দাবি, তারা ৩টি রাফালসহ মোট পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রায় একই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথম দিকে স্বীকার না করলেও গত ৩১ মে সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গকে এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার কথা স্বীকার করল ভারত
তবে কতটা যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসল বিষয়টি হলো সংখ্যা নয়, বরং কেন বিমানগুলো ভূপাতিত হয়েছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
নরেন্দ্র মোদি সরকারও এখন পর্যন্ত ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমানের সংখ্যাটা জানায়নি। ক্যাপ্টেন শিব কুমারও জানাননি। তবে তিনি বলেছেন, ভারত কয়েকটি যুদ্ধবিমান হারিয়েছ।
গত ১০ জুন ইন্দোনেশিয়ায় এক সেমিনারে শিব কুমার বলেন, ‘আমি হয়তো (ইন্দোনেশিয়ার এক আগের বক্তার বক্তব্যের সঙ্গে) একমত নই যে, আমরা এতগুলো বিমান হারিয়েছি, তবে এটা স্বীকার করছি যে আমরা কিছু বিমান হারিয়েছি।’
ক্যাপ্টেন কুমারের মন্তব্যের পর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অপারেশন সিন্দুর পরিচালনা নিয়ে মোদি সরকারের উপর নতুন করে আক্রমণ শুরু করে। দলটির নেতা জয়রাম রমেশ প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্দেশে বলেছেন, কেন তিনি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে সব জানাচ্ছেন না? কেন সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি খারিজ করে দিচ্ছেন?
আরও পড়ুন: ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়া নিয়ে যা বলল ফরাসি সেনাবাহিনী
আরেক মুখপাত্র পবন খেরার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখেছেন। ভুল তথ্য দিচ্ছেন। তথ্য লুকিয়ে রাখছেন।
ক্যাপ্টেন কুমারের ২০ দিনের পুরনো মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর ইন্দোনেশিয়ার ভারতীয় দূতাবাস বলেছে, ক্যাপ্টেন কুমারের মন্তব্য ‘প্রেক্ষাপটের বাইরে উদ্ধৃত করা হয়েছে এবং মিডিয়া রিপোর্টগুলো স্পিকারের বক্তব্যের উদ্দেশ্য এবং মূল বিষয়ের ভুল উপস্থাপনা’।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
]]>