ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়াকে ‘ক্রমবর্ধমান হুমকি’ হিসেবে দেখছে পশ্চিমা দেশগুলো। হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানি সেনাবাহিনী সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে। ন্যাটোর নতুন প্রতিরক্ষা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩১ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর জার্মান সেনাবাহিনীতে ৪০ হাজার নতুন সেনা নিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সরকারকে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার অন্যতম প্রধান কারণ জার্মানরা যুদ্ধ করতে চায় না। যা জার্মান সম্প্রচার মাধ্যম আরএনডির এক জরিপে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: জ্বলন্ত তেল শোধনাগারের সামনে টিকটক ভিডিও, দুই রুশ তরুণী গ্রেফতার
জরিপে অংশ নেয়া ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতাই বলেছেন যে, তারা ‘সম্ভবত’ অথবা ‘নিশ্চিতভাবেই’ বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করতে অনিচ্ছুক। মাত্র ১৬ শতাংশ জার্মান জানিয়েছেন, তারা তাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য অস্ত্র হাতে নিতে ‘অবশ্যই’ ইচ্ছুক। আর ২২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা ‘সম্ভবত’ যুদ্ধে যাবেন।
এই জরিপ এখন জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্তোরিয়াসের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গত মাসেই তিনি সেনাবাহিনীতে প্রতিবছর ৪০ হাজার নতুন সেনা নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান। সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীর সামগ্রিক আকার ১ লাখ ৮২ হাজার থেকে কমপক্ষে ২ লাখ ৬০ হাজারে উন্নীত করা প্রয়োজন।
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর রিজার্ভ বাহিনীও ৬০ হাজার থেকে ২ লাখে উন্নীত করা প্রয়োজন। সম্প্রতি রয়টার্স জানায়, ন্যাটো চাইছে, জার্মানি যেন অন্তত ৭টি অতিরিক্ত সেনা ব্রিগেড জোটের বাহিনীর জন্য সরবরাহ করে। ন্যাটো বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪০ হাজারের মতো। ন্যাটো দেশগুলোর সম্মিলিতভাবে ১২০ থেকে ১৩০টি ব্রিগেড প্রস্তুত রাখা দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার ‘ডেড হ্যান্ড’ আসলে কী
তবে এ বিশাল সংখ্যক নতুন সেনা নিয়োগ করা বার্লিনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জার্মান সেনাবাহিনীর ২০১৮ সালে নির্ধারিত ২ লাখ ৩ হাজার সদস্যের লক্ষ্যও পূরণ করতে পারেনি। বর্তমানে সেনাবাহিনীতে নিয়মিত সদস্যের ঘাটতি প্রায় ২০ হাজার।
তথ্যসূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
]]>