গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। আগ্রাসন চলে দেশটির সামরিক ঘাঁটি, পারমাণবিক আর জ্বালানি স্থাপনা, এমনকি আবাসিক এলাকাগুলোতেও। টানা ১২ দিন ধরে চলা অপারেশন রাইজিং লায়নে প্রাণ হারান শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণুবিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিক।
যুদ্ধ চলাকালে ইরানের বিমান বাহিনী দফায় দফায় আকাশ প্রতিরক্ষা অভিযান চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ ভাহেদি। তার দাবি, শত্রুপক্ষের একাধিক ড্রোন ধ্বংসের পাশাপাশি যুদ্ধবিমান প্রতিহত করা হয়েছে। শত্রুদের নির্ধারিত লক্ষ্যভেদও ব্যর্থ করা হয়।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে ইরান, দাবি আইএইএর
ইরানের খাতামুল আম্বিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার্সের প্রধান মেজর জেনারেল আলি আবদুল্লাহি আলিআবাদি জানান, সাম্প্রতিক যুদ্ধ সেনাদের আরও প্রস্তুত করেছে। তার দাবি জাতীয় ঐক্য ও সামরিক সক্ষমতাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের অভিসন্ধিকে ভেস্তে দিয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক্সে এক পোস্ট তিনি লেখেন, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা ও ইসলামি বিপ্লবের অর্জন রক্ষায় প্রস্তুত।
এদিকে ইরান ও কাতারের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাতারের আমির শেখ তামিমের কাছে বার্তা পাঠান ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এ বিষয়ে কাতার নিউজ এজেন্সি জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে লুসাইল প্রাসাদে আমিরের কাছে বার্তাটি পৌঁছে দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
]]>