যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারির পর ভেনেজুয়েলায় একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল

১৯ ঘন্টা আগে
ভেনেজুয়েলার আকাশপথে চলাচলকারী মার্কিন এয়ারলাইন্সগুলোকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করার পর ভেনেজুয়েলার উপর দিয়ে একাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে আন্তর্জাতিক কয়েকটি এয়ারলাইন্স।

ফ্লাইটরাডার২৪ এবং ভেনেজুয়েলার সিমন বলিভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, ব্রাজিলের গোল, কলম্বিয়ার আভিয়ানকা, চিলির এলএটিএএম, ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্যারিবিয়ান এবং টিএপি এয়ার পর্তুগাল শনিবার কারাকাস থেকে ছেড়ে যাওয়া তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

 

কলম্বিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা অ্যারোনটিকা সিভিল দে কলম্বিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং ওই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধির কারণে’ মাইকুয়েতিয়া অঞ্চলে বিমান চালানোর ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’ রয়েছে।

 

ট্যাপ এয়ার পর্তুগাল নিশ্চিত করেছে, তারা শনিবার ও পরবর্তী মঙ্গলবারের জন্য তাদের ফ্লাইট সূচি বাতিল করেছে। রয়টার্সকে সংস্থাটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জারি করা তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নেই।’

 

আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

 

স্পেনের আইবেরিয়া বিমান সংস্থা জানিয়েছে, তারা সোমবার থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কারাকাসে তাদের ফ্লাইটগুলো বাতিল করেছে।

 

ভেনেজুয়েলার এয়ারলাইনস অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি মারিসেলা দে লোয়াইজা জানান, স্পেনের ইবেরিয়া, পর্তুগালের টিএপি, চিলির লাতাম, কলম্বিয়ার অ্যাভিয়ানকা, ব্রাজিলের গোল এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্যারিবিয়ান এয়ারলাইনস আপাতত ফ্লাইট স্থগিত করেছে।

 

আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার আকাশপথে মার্কিন এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

 

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ভেনেজুয়েলার আকাশপথে চলাচলকারী মার্কিন এয়ারলাইন্সগুলোকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএ। ৭২ ঘণ্টা আগে কোন রুটে বিমান চলাচল করবে তা জানানোর বাধ্যবাধকতা জারি করা হয়েছে।

 

আমেরিকান এয়ারলাইনস জানায়, অক্টোবর থেকেই তারা ভেনেজুয়েলার আকাশপথ এড়িয়ে চলছে। সংস্থাটি জানায়, ২০১৯ সাল থেকেই দেশটিতে মার্কিন যাত্রী ও কার্গো বিমানের সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ; তবে দক্ষিণ আমেরিকার কিছু রুটে এখনও বিমান চলাচল করে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন