বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
আইআরআই রিপাবলিকান পার্টির সাথে যুক্ত থিঙ্কট্যাঙ্ক, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের প্রচারে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটির আঞ্চলিক প্রধান স্টিভ চিমার নেতৃত্বে আইআরআই কর্মকর্তারা তাদের চলমান সফরে রাজনীতিবিদ, ছাত্র গোষ্ঠী এবং সুশীল সমাজের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন।
চিমা বলেন, আইআরআই-এর অগ্রাধিকার হলো অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করা, বিশেষ করে এখন যখন দেশের মূল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করার জন্য ব্যাপক দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মের ভাষা ও আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে দেশের সত্যিকারের গতিপথ নিয়ে উদ্বেগ ছিল। এই সংস্কারগুলোর সাফল্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার পর নির্বাচনের আয়োজন করবে। নির্বাচন আয়োজনের যাত্রা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন সাধারণ নির্বাচনের জন্য মাটি প্রস্তুত করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করতে তিনি শীর্ষ রিপাবলিকান সিনেটর এবং কংগ্রেস সদস্যদের বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানাবেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সাপোর্ট দেয়া কতিপয় সাংবাদিককে দেখা হবে: শফিকুল আলম
বৈঠকে আইআরআই কর্মকর্তা জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআই কান্ট্রি চিফ জোশুয়া রোসেম্বলাম এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
]]>