শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
স্থানীয় সময় ২০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির পররাষ্ট্র দফতরে উচ্চপর্যায়ের সংলাপের মাধ্যমে তিন সপ্তাহব্যাপী এই কর্মসূচি শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে মিলা বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সফর, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ, কর্মশালা, মাঠ পরিদর্শনসহ নানামুখী কার্যক্রমে অংশ নেবেন। পুরো ব্যয় বহন করবে মার্কিন সরকার।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস ও বন বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জোহরা মিলা বলেন, ‘এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ কর্মসূচিতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আমার জন্য অত্যন্ত গৌরবের। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আমার কাজকে আরও শক্তিশালী করবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে বেসরকারি সংস্থায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করেন তিনি। পরে বন বিভাগে যোগ দিয়ে মাঠপর্যায়ে বন্যপ্রাণী গবেষণা ও সংরক্ষণে নিবেদিত হন। এর আগে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন মিলা।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় ঘরের পাশে জালে আটকে ছিল পদ্মগোখরা, উদ্ধারের পর অবমুক্ত
উল্লেখ্য, ১৯৪০ সাল থেকে শুরু হওয়া আইভিএলপি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের আড়াই লাখ তরুণ নেতৃত্ব এতে অংশ নিয়েছেন, যাদের অনেকে পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রধান, নোবেল বিজয়ী এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন। এই কর্মসূচিতে আবেদন করা যায় না; বরং নেতৃত্বের গুণাবলী ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে মার্কিন দূতাবাসই অংশগ্রহণকারীদের মনোনীত করে।
এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করা যায় না; বরং নেতৃত্বের গুণাবলি, কাজের প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে মার্কিন দূতাবাসই অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করে।