এতে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ‘ট্রাম্প বাণিজ্যের বিষয়টিকে এখন অস্ত্রে রূপান্তরিত করেছে। তার এই শুল্কনীতি ঝুঁকিতে ফেলছে বিশ্বায়নকে। এ ধরনের শুল্কারোপ অন্যায্য এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা–ডব্লিউটিওর নীতির প্রতি অবহেলা। তবে শেষ পর্যন্ত এ শুল্ককাঠামো টেকসই হবে না। খোদ যুক্তরাষ্ট্রই এ পদক্ষেপ থেকে কোনো সুফল পাবে না।’
ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যায্য শুল্ক আরোপের কারণে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার দেশ বিশেষ করে উদীয়মান পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো বাংলাদেশের পণ্যের ভালো বিকল্প বাজার হতে পারে।’
আরও পড়ুন: ধস কাটিয়ে বিশ্ববাজারে বাড়ছে জ্বালানি তেল ও গ্যাস-কয়লার দাম
ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা উল্লেখ করে পিআরআই চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার বলেন, ‘নতুন করে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ইতিহাসে এটা খারাপ অধ্যায় হয়ে থাকবে। এটা শেষ ধাক্কা। আমরা কীভাবে সেখান থেকে বের হব, সেটা কেউ জানে না। যুক্তরাষ্ট্রও বাণিজ্যঘাটতিতে আছে, তারা যা উৎপাদন করে, তার চেয়ে বেশি খরচ করে। বাংলাদেশ চলতি হিসাবের ঘাটতিতে আছে, অর্থাৎ আমরা সঞ্চয়ের চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করছি। এটা খারাপ কিছু নয়।’
ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশকে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন জাইদী সাত্তার।
]]>