যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের শাটডাউন দ্বিতীয় মাসে গড়ালো

২ সপ্তাহ আগে
যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের শাটডাউন দ্বিতীয় মাসে গড়িয়েছে। বাজেট ইস্যুতে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দ্বন্দ্বে থমকে আছে প্রশাসন। বেতন পাচ্ছেন না লাখো সরকারি কর্মী।

এর মধ্যেই খাদ্য সহায়তা বন্ধের কথা জানিয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা স্থগিত করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির দুই ফেডারেল বিচারক।

 

গত মাসে (১ অক্টোবর) শুরু হওয়া শাটডাউন বা সরকার অচলাবস্থা এখন মার্কিন ইতিহাসের দ্বিতীয় দীর্ঘতম। এক মাস পেরিয়ে গেলেও বাজেট নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা। বাজেট পাসে ব্যর্থ হওয়ার পর থমকে গেছে প্রশাসন।

 

প্রায় ৭ লাখ ৩০ হাজার কর্মী বিনা বেতনে কাজ করছেন। বেতন ছাড়াই ছুটিতে আছেন আরও ৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মী। ডেমোক্র্যাটরা আপস না করলে ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

 

সরকারের এই অচলাবস্থার কারণে সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর ওপর। ৪ কোটি ২০ লাখ আমেরিকান যে খাদ্য সহায়তা পেতেন, তা এই সপ্তাহেই বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

 

আরও পড়ুন: সরকারে শাটডাউন তুলতে ১৩তম বারের মতো ব্যর্থ হলো মার্কিন সিনেট

 

খাদ্য সহায়তা চালু রাখতে ডেমোক্র্যাটরা ৫ বিলিয়ন ডলারের জরুরি তহবিল ব্যবহার করার আহ্বান জানালেও হোয়াইট হাউস জানিয়েছে আইনগতভাবে ওই তহবিল ব্যবহার করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যবীমা ভর্তুকি নবায়ন না হলে প্রিমিয়াম বেড়ে যেতে পারে গড়ে ১১৪ শতাং। যা মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলবে ২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে।

 

এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোষ্টে বলেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা সম্পূর্ণ পাগল’ হয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে ফিলিবাস্টার নিয়ম তুলে নিউক্লিয়ার অপশন চালু করার। এতে ৬০ ভোটের বাধা তুলে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ৫১ ভোটেই বিল পাসের সুযোগ তৈরি হবে।

 

এর মাধ্যমে ডেমোক্র্যাটদের বাধা এড়িয়ে দ্রুত সরকারি কার্যক্রম চালুর পথ খুলতে চান ট্রাম্প। তবে এ নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে মতভেদ। অনেকে ট্রাম্পের এই বক্তব্যের সমর্থন করলেও কেউ কেউ স্পষ্টভাবে এর বিরোধিতা করছেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন