কয়েক দশকের মধ্যে ক্যারিবীয়ান অঞ্চলে সবচেয়ে বড় মার্কিন নৌ মোতায়েন এবং কথিত মাদকবাহী নৌযানগুলোর ওপর মার্কিন হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভেনেজুয়েলার আরও একটি সন্দেহজনক মাদকবাহী নৌযানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ভেনেজুয়েলার কারাগার ও মানসিক আশ্রম থেকে মুক্তি দেয়া হাজারো মানুষকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এসব অভিবাসীদের দানব আখ্যা দিয়ে দ্রুত ফেরত নিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। আর মাদুরো সরকার এমন না করলে চরম মূল্য দেয়ারও হুমকি দেন ট্রাম্প। যদিও এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান, প্রতিষ্ঠান বা যাচাইযোগ্য তথ্য দেননি ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলার আরেকটি ‘মাদকবাহী’ নৌযানে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ চালানোর অভিযোগ করেছে ভেনেজুয়েলা। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভেনিজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলায় নিহতদের ঘটনায় জাতিসংঘের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভলাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সামরিক হুমকি’র প্রতিক্রিয়ায় একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার সময় বলেন, এটি একটি অঘোষিত যুদ্ধ। মাদক ব্যবসায়ী হোক বা না হোক, কোনো প্রতিরক্ষার সুযোগ না দিয়েই ভেনেজুয়েলার মানুষদেরকে হত্যা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভেনেজুয়েলায় যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো এরমধ্যেই ক্যারিবীয়ান দ্বীপ লা অর্চিলায় তিন দিনের সামরিক মহড়া চালিয়েছেন। জনগণকে অস্ত্র প্রশিক্ষণে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেসামরিক নাগরিকদের দেয়া হচ্ছে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র আটটি যুদ্ধজাহাজ, এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান এবং প্রায় ৪ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন করেছে ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে। ওয়াশিংটন বলছে, এটি মূলত মাদকবিরোধী অভিযান। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইনে বেসামরিক জাহাজে সরাসরি হামলা নিয়ে আইনি প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্র: রয়টার্স
]]>