সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিমুহূর্তের আপডেট জানাতে সময় সংবাদের প্রতিবেদকরা এখন ঘটনাস্থলে আছেন। এরইমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে উঠে এসেছে বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতার নানান দিক।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে দেখা যায় আহতদের স্বজনদের আহাজারি, রক্ত সংগ্রহের আহ্বান এবং নিখোঁজ শিশুর অভিভাবকদের আর্তচিৎকার। ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় আহত এক শিশুর সম্পর্কে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা যায়, এখনও অনেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রায় দিশেহারা এক অভিভাবকের কাছে সময় সংবাদ জানতে চায়, আপনার বাচ্চার বয়স কত বা কোন ক্লাসে পড়ত, একটু বিস্তারিত বললে যদি আমরা এ বিষয়ে কোনোভাবে খবরটা দিতে পারি!
অভিভাবক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পাবেন না ভাই। আমি অনেক খুঁজছি, আপনারা পাবেন না।’
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণ পরেই ছুটি হতো জুনিয়রদের, কী ঘটেছিল সে সময়?
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় আমরা ক্লাসে ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠলো পুরো বিল্ডিং। বাইরে বেরিয়ে দেখি ধোঁয়া, আগুন আর চিৎকার। অনেকেই আহত, অনেক শিশু হারিয়ে গেছে।’
তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমরা রক্ত দিচ্ছি। যাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের আমরা খুঁজছি। যাদের পাওয়া যাচ্ছে, আমরা তাদের স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি।’
কিন্তু যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে এক হৃদয়বিদারক বর্ণনা উঠে আসে আরেক শিক্ষার্থীর কণ্ঠে—
‘আর যারা মারা গিয়েছে, ওদের শরীর পুড়ে গেছে। একদম আলুর মতো গলে গেছে, কেউ অঙ্গার হয়ে গেছে। চেনার উপায় নেই।’
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এখনও কিছু আহত শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মুমূর্ষুদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে রেফার করার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রজেক্ট-২ নম্বর ভবনের সামনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজেআই মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দেড়শতাধিক।