যেমন পুরান ঢাকার ধোলাইখালের পুরো এলাকাটি এই ডাইভারশনের কারণে ধুঁকছে। আগে রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে নিম্ন আদালতের সামনে দিয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে থামতো সদরঘাটের বাসগুলো। বর্তমানে রায়সাহেব বাজার থেকে সোজা ধোলাইখাল হয়ে বানিয়ানগরে ইউটার্ন নিয়ে আবার রায়সাহেব বাজার হয়ে চলে যাচ্ছে গন্তব্যে।
আরও পড়ুন: সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লক্কর-ঝক্কর গণপরিবহন, অভিযানেও সুফল মিলছে না কেন?
ফলে যাত্রী ও বাসিন্দারাতো বটেই দুর্ভোগে আছেন ওই এলাকার ছোট ব্যবসায়ীরাও। গাড়ির ধীরগতি আর তীব্র যানজটে চলাফেরাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধোলাইখালের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই রাস্তায় বাসগুলো চলাচল শুরুর পর থেকে যানজট বেড়েছে। ব্যাবসা-বাণিজ্যে সমস্যা হচ্ছে।
নতুন এই নিয়মের ভুক্তভোগী সদরঘাটের যাত্রীরা। বিপাকে বাস ড্রাইভার ও হেল্পাররাও। যাত্রী ও চালকরা বলছেন, রাস্তা পরিবর্তন করায় যানজট বেড়েছে। চলাচলে সমস্যা বাড়ছে। এর চেয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত বাস চলতো, সেটিই ভালো ছিল।
একদিকে সড়কে যানজট অন্যদিকে ফুটপাত হকারদের দখলে থাকায় নাকাল হচ্ছেন পথচারীরাও। তারা বলছেন, এদিকে সড়কে গাড়ি চলাচলে দেয়া হয়েছে ডাইভারশন; অন্যদিকে ফুটপাত দখল করে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এতে যানজটের সময় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ারও উপায় থাকে না।
তীব্র যানজট আর গাড়ির ধীরগতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ধোলাইখালের গলার কাঁটা। তবে সদরঘাটের বাস নিয়ে বিকল্প কোনো চিন্তা নেই খোদ কর্তৃপক্ষের কাছেও। এসব কারণে ধোলাইখালের ১০ হাজারেরও বেশি দোকানের ১ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানই এখন হুমকির মুখে। মূল কারণ ধোলাইখালের স্থবির সড়ক।
ধোলাইখাল রিকন্ডিশন ইঞ্জিন ও মোটরপার্টস মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. ইস্রাফিল বলেন, যানজটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজ ও চাকরিজীবীরাও। কয়েক মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে কয়েক ঘণ্টাও।
আরও পড়ুন: গাড়ি চালানোর জন্য পুরোপুরি সুস্থ নন ৬০ শতাংশ চালক!
যদিও ডিএমপির ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের দাবি, সদরঘাট এলাকার যানজট নিরসনে নেয়া হয়েছে এই উদ্যোগ, যার সুফলও মিলছে অনেকাংশে।
ডিএমপির ট্রাফিক লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বাসগুলো ওইদিকে যাওয়ার ফলে ওখানকার ট্রাফিক স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বেড়েছে। তবে যে অসুবিধাগুলো হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। দ্রুতই সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। পাশাপাশি ভাঙা রাস্তাগুলো সংস্কার করতে পারলে গাড়িগুলো দ্রুত চলাচল করতে পারবে। এতে যানজটও কমে যাবে।
শুধু ধোলাইখাল নয়, গোটা রাজধানীতে ডাইভারশনের কারণে বেশ কিছু জায়গায় এমন দুর্ভোগ নিত্যদিনের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর সুফল মিললেও নগরবাসীর দাবি, কিছু জায়গায় ঘটেছে চরম বিপত্তি। অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজধানীবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে ট্রাফিক বিভাগ।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৮







Bengali (BD) ·
English (US) ·