বাবার জন্য এখনো অপেক্ষার প্রহর গুনছে ১৪ বছরের নিহা! আর বুকের ধনকে হারিয়ে আহাজারি থামছে না মা সাহানুর বেগমের। মুঠোফোনে ছবিতে ছেলেকে খুঁজে ফিরছেন বারবার। কিন্তু সন্তান আর ফিরবে না ঘরে।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ১০ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় নির্মাণ শ্রমিক রাসেল মিয়াকে বাঁশ-লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছেন দুজন। অসুস্থ হয়ে পড়লেও থামাননি নির্যাতন।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, যাত্রাবাড়ীর একটি গ্যারেজে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন রাসেল। হঠাৎ বালু শেষ হয়ে যাওয়ায় মালিকের কথা মতো পাশের একটি জায়গা থেকে এক কড়াই বালু আনতে যান তিনি। সেই বালু তো আনা হয়নি, উল্টো নিভে গেছে রাসেলের জীবনপ্রদীপ।
স্বজনদের অভিযোগ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর, সেই আলম-সেন্টু প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বৃদ্ধাকে হাত-পা বেঁধে হত্যা
রাসেলের বাবা রশিদ পাটোয়ারী বলেন,
সেন্টুকে ঘোরাফেরা করতে এলাকার লোকজনও দেখেন। কিন্তু পুলিশের কাছে গিয়ে আসামি ধরার কথা বললে, পুলিশ বলে তারা গিয়ে নাকি আসামি পায় না!
স্থানীয়রাও বলছেন, এলাকায় আসামিদেরকে চলাফেরা করতে দেখি। একটা লোককে এভাবে হত্যা করা হলো, অথচ পুলিশের কোনো পদক্ষেপ নেই। বিষয়টি দুঃখজনক।
যদিও পুলিশের দাবি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে গুরুত্ব দিয়েই। আসামিদের ধরতে চলছে অভিযান।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জ থেকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,
ঘটনা গত ১০ জানুয়ারির। সে যখন মারা যায়, তখন লোকজন এদিক-ওদিক ছড়িয়ে যায়। যখন ভিডিও আসে, তখন আসামিরা একেকজন একেক জায়গায় চলে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা স্থান পরিবর্তন করছেন।
রাসেল হত্যার ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। এতে আসামি করা হয়েছে সেন্টু ও আলমসহ চারজনকে।
]]>