যাত্রাবাড়ীতে চোর সন্দেহ কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা

৪ দিন আগে
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মীরহাজীরবাগে চোর সন্দেহ বাপ্পি নামে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, চোর সন্দেহে তাকে বাসা থেকে ডেকে এনে দীর্ঘ সময় অমানবিক নির্যাতন করার পর তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রথমিক তদন্তে জানা গেছে। বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।

 

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

 

মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ফৌজিয়া রওশন আক্তার প্রিতি, যার বাসায় চুরি করেছে সন্দেহে বাপ্পিকে ডেকে নেয়া হয়েছে, ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৫-৬ জন আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

এর আগে বুধবার মীরহাজীরবাগ আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে।

 

নিহত বাপ্পির বাড়ি বাগেরহাট শরণখোলা উপজেলার কদমতলা গ্রামে। তার বাবা মো. শাহজাহান রিকশা চালক আর মা পারুল বেগম কারখানা কাজ করেন। থাকেন ধোলাইপাড় প্রেমগলির মজিবর মুন্সির বাড়িতে।

 

আরও পড়ুন: মামুনকে গুলি করে হত্যা: দুই শুটারসহ ৫ জন রিমান্ডে

 

বাপ্পির বড় ভাই মো. পারভেজ জানান, এলাকায় একটি কারখানায় মা ও বাপ্পি কাজ করেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপশি রাসেল, মোল্লা শুভ, ময়না শাকিব নামে ৩ জন তাদের বাসায় এসে বাপ্পিকে ধরে নিয়ে যায়। এসময় তারা বলতে থাকেন, মীরহাজীরবাগের একটি বাসায় জানালা দিয়ে টাকা ও বিদ্যুতের মিটারের প্রিপেইড কার্ড চুরি করেছে সে। ধরে নিয়ে মীরহাজীরবাগের আবু হাজী মসজিদ গলির একটি বাসার নিচ তলায় ক্লাব ঘরে আটকে রাখে। সেখানে রাতভর পেটায় তাকে। সকাল ৬টার দিকে আবার বাপ্পিকে নিজের বাসায় ফিরত নিয়ে আসে। বলে চুরির টাকা ও মালামাল বাসা থেকে বের করে দিতে। তখনও কিছু না পেয়ে আবার নিয়ে যায় তাকে।

 

পারভেজ বলেন, এরপর বাপ্পিকে ছাড়াতে মা পিছু পিছু যায়। মাকেও ওই বাসার নিচে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে তারা। এরপর বুধবার সারাদিন সেখানে আটকে রেখে মারধরের পর যখন সে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিল তখন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাপ্পিকে মীরহাজীরবাগ বড় বাড়ি প্রথম গেট, সাইফুল মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। তখনও ছটফট করছিল সে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে হয়ে পড়ে বাপ্পি।

 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে তার বাবা শাহজাহান বলেন, আমার ছেলে যদি কোন অপরাধ করেও থাকে, তাহলে মারধর করার পর পুলিশের কাছে তুলে দিত। এইভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলল কেন? এর বিচার চাই।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন