বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এইচডিইউতে মারা যান তিনি।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, তুহিনের শরীরের ৪৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছিল।সেখানেই তিনি মারা গেছেন। তার স্ত্রী ইভা ৮ শতাংশ, ছেলে তাওহীদ ১৫ শতাংশ ও তানভীর ৪৭ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে যাত্রাবাড়ী ধলপুর বউবাজার লিচুবাগান মসজিদের পাশে একটি বাড়ির ৭ম তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয় তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইভা আক্তার (৩০), দুই ছেলে তাওহীদ (৭) ও তানভীর (৯)।
আরও পড়ুন: এসি বিস্ফোরণের কারণ এবং দুর্ঘটনা এড়াবেন যেভাবে
দগ্ধ ইভার বোন ফারজানা আক্তার জানান, বাসায় পরিবারটির ওই ৪ সদস্য থাকেন। তুহিন মোতালিব প্লাজায় একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে কাজ করেন আর তার স্ত্রী গৃহিণী। শুক্রবার রাতে যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বাসার এসি থেকে একটি বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে ঘরে আগুন ধরে গেলে তারা চারজনই পুড়ে যান। পরে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা আগুন নিভিয়ে রাতেই তাদেরকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে এসে ভর্তি করেন।
তাদের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার দিঘলপাড়া গ্রামে। তুহিনের বাবার নাম মো. লোকমান মুন্সি।