সভায় পূজা উদযাপনে সংকট ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো নেতৃবৃন্দ তুলে ধরেন। সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে সার্বিক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ সংকটে ক্রয় সম্ভব না হলে ভাড়া করতে হবে। সেটিও না হলে পূজা পরিষদ বা সমাজের বিত্তবানদের সহায়তায় সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় থাকবে। এটি ধর্মীয় আচার হলেও সামাজিক উৎসবের যোগ রয়েছে। তবে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সেটি ধর্মীয় ঘটনাই বলে প্রচার হবে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। অপরাধের তথ্য পেলে পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেবে।’
ডিজে পার্টি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা এটি জোর করে বন্ধ করতে চাই না। তবে মন্দির কমিটিকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। উঠতি বয়সীরা মনে করে ডিজে মানেই উৎসব, কিন্তু তা দুর্গোৎসবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই আপনারাই নিরুৎসাহিত করবেন।’
যানজট নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যশোর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা নতুন করে সাজানো হয়েছে। বাকী ৮টি থানা এলাকায় সীমিত পরিসরে ট্রাফিক পুলিশের টিম কাজ করবে। স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা ছাড়া যানজট নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি কবে থেকে শুরু?
প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৭টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। কোনো কারণে তা সম্ভব না হলে রাত ১০টার পর কোনোভাবেই বিসর্জন দেওয়া যাবে না।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষসহ বিভিন্ন উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, এ বছর যশোর জেলায় ৭০৫টি মন্দির ও মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬২টি, অভয়নগরে ১২৭টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মণিরামপুরে ৯৬টি, বাঘারপাড়ায় ৯১টি, ঝিকরগাছায় ৫৪টি, চৌগাছায় ৪৮টি ও শার্শায় ২৯টি মন্দির রয়েছে। ২০২৪ সালে জেলায় দুর্গাপূজা হয়েছিল ৬৫২টি মন্দিরে। আর ২০২৩ সালে ছিল ৭৩৩টি। গত বছর ৮১টি মন্দিরে পূজা কম হলেও এবার বেড়েছে ৫৩টি।
এ বছর এয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগাম সতর্কতার পাশাপাশি নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
]]>