নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মাসউদ জামান। নাটকটিতে আওয়ামী সরকারের ১৭ বছরের ‘ত্রাসের রাজত্বের’ প্রতিচ্ছবি অত্যন্ত নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম দর্শক সারিতে বসে নাটকটি উপভোগ করেন। এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও শিল্পকলা একাডেমিতে ভিড় জমান।
আরও পড়ুন: যশোরে আবাসিক হোটেল থেকে ৪ জনকে ধরল পুলিশ
নাটকে অভিনয় করেন- সোহেল রানা, মাসউদ জামান, রুকাইয়া আলম, স্বপন দাস, মারুফ হোসেন, শামসুদ্দিন হোসাইন, আলমগীর হোসেন, ইফতেখার তাহসিন, হাসিবুর রহমান, রিফাত মাহমুদ, আনিসুর রহমান, পিয়াস মণ্ডল, ইব্রাহিম খলিল, তানভীর হাসান ও শাহিদুর রহমান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘নাটকটি শুরু হয় এক নবদম্পতির নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে। তবে সেখানেই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। নববিবাহিত স্ত্রীর সামনে থেকে তুলে নেয়া হয় এক ছাত্রনেতাকে। থানায় গিয়ে নববধূর আকুল আবেদনও কোনো কাজে এলো না; কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে তাড়িয়ে দেন। এরপর বছরের পর বছর আয়না ঘরে চলে নির্যাতন।’
তিনি বলেন, ‘এটি নাটক হলেও ছিলো বিগত সরকারের শাসনব্যবস্থা। বছরের পর বছর এভাবেই ছাত্র-জনতা বিশেষ করে ভিন্নমতের রাজনীতি করার কারণে হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমরা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুন্থানে একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সবাইকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করতে হবে। এই চেতনার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন জাতি গঠনে আমাদের সকলের প্রত্যয় থাকবে।’
আরও পড়ুন: হত্যার দায়ে যশোরে আলোচিত উদ্ভাবক মিজানসহ চারজনের যাবজ্জীবন
নাটকটির নির্দেশক মাসউদ জামান বলেন, নাটকটিতে বিগত ১৭ বছরের আওয়ামী শাসনব্যবস্থার বাস্তব প্রতিচ্ছবি ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে দমনের জন্য লোমহর্ষক নির্যাতন চালিয়েছে সেটা তুলে ধরা হয়েছে।