শনিবার (২১ জুন) আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
পিবিআই যশোর জানায়, চলতি বছরের ৭ মার্চ দিবাগত রাত চারটার দিকে যশোরের চৌগাছা উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় শরিফুল ইসলামকে (৪১)। হত্যার পর ছেলে রমিম পালিয়ে যান। নিহত শরিফুল ইসলামের স্ত্রী (রমিমের সৎমাতা) বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয় পিবিআই যশোর।
তদন্তের একপর্যায়ে পিবিআই যশোরের একটি দল নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ভুলনা ঠাকুরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে রমিমকে গ্রেফতার করে।
শনিবার তাকে চৌগাছা আমলি আদালতে হাজির করা হলে তিনি বাবাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, রমিম ইসলাম ও তার পিতা শরিফুল ইসলাম একই বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীদের নিয়ে বসবাস করতেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর রমিম কোনো কাজ করতেন না, বরং নেশার টাকার জন্য প্রায়ই বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতেন।
আরও পড়ুন: নামাজরত বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এ কারণে তার বাবা শরিফুল ইসলাম একপর্যায়ে তাকে আলাদা করে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন রমিম। তদন্তে জানা যায়, পরিকল্পিতভাবে তিনি চাপাতি দিয়ে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর তিনি রাতেই পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
পিবিআই সূত্র জানায়, রমিমের দেওয়া স্বীকারোক্তি যাচাই-বাছাই করে হত্যাকাণ্ডের পেছনের অন্য কোনো উদ্দেশ্য বা সহযোগী ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।