ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজাপ্রাপ্ত কমল কুমার কর্মকার যশোর শহরের ষষ্টিতলা বুনোপাড়ার মৃত ফটিক চন্দ্র কর্মকারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, যশোর শহরের ষষ্টিতলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত ওই শিশুর পরিবার। সে শহরের ইনস্টিটিউট সকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিশু খেলা করার উদ্দ্যেশে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে শিশুটি বাড়ি ফিরে জানায়, কমল তাকে বল দেয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে বলাৎকার করেছে। গুরুতর অসুস্থ শিশুটিকে স্বজনরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন: যশোরে সাপের দংশনে মেয়ের মৃত্যু, মা হাসপাতালে
বিষয়টি জানাজানি হলে কমল কুমার কর্মকারকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে আটক কমল কুমারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে আটক কমল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
আরও পড়ুন: যশোরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেফতার
দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি কমল কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজাপ্রাপ্ত কমল কুমার কর্মকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
]]>