সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, মুক্তিপণের টাকা না দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে।
নিহত তানভির হাসান নিশান ভাটপাড়া গ্রামের খায়রুল বাশারের ছেলে। সে স্থানীয় আলিয়া মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
তানভিরের মামা শরিফুল ইসলাম জানান, তানভির রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই সময় তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তানভিরের মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এবং কিছুক্ষণ পর ফোন কেটে দেয়। এ ঘটনার পর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
আরও পড়ুন: স্বামীর দাফনে স্ত্রীর বাধা, ফ্রিজিংভ্যানে লাশ রেখে সালিশে এলাকাবাসী
তিনি আরও জানান, দুপুরে বাড়ির কাছের একটি পুকুরে কাজ করার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তির পায়ে ভারি কিছু বাধায় সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে পানির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় তানভিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল। তাদের ধারণা মুক্তিপণ না পেয়ে তানভিরকে হত্যা করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, তানভিরকে হত্যার পর লাশ গোপন করতে পুকুরে বাঁশের সাথে আটকে রাখা হয়েছিল। হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।