শুক্রবার (৯ মে) যশোর শহরের নিউ মার্কেট ও চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার অন্যরা হলেন, চৌগাছা উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর হোসেন, চৌগাছা সদর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, যশোর সদর উপজেলার বলরামপুর মধ্যপাড়ার মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম লাল্টু।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে বন্দবিলা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন লস্কর বাদী হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও মারপিটের অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলা ইউপি চেয়ারম্যান মুনজুর রশিদ স্বপনসহ বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩০৮ জন নেতাকর্মী আসামি করা হয়। এরপর থেকেই স্বপনসহ আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাচ্ছিলো। সবশেষ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর আজ শুক্রবার বিকেলে যশোর শহরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে যশোর শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, বজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও রবিউল ইসলাম লাল্টুকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় জেলা বারের সাবেক পিপি গ্রেফতার
কোতোয়ালি থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা ক্ষমতার দাপটে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন। এছাড়া সরকার পতনের পরও তারা শেখ হাসিনার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ নভেম্বর সদর উপজেলার কানাইতলা গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা চালায়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে আটক চারজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।