রোববার (১৮ মে) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে যশোর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত থেকে হাজতখানায় নেয়ার পথে নারী কনস্টেবল হাত থেকে পালিয়ে যান ওই আসামি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ; একইসঙ্গে এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পলাতক আসামি জুয়েল খান মাগুরার শালিখা উপজেলার রামপুরা বুনোগাতি গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালাল ধর্ষণ মামলার আসামি
আদালত সূত্রে জানা যায়, জুয়েল খান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুদোপুর এলাকায় ইজিবাইক চালক আলামিন হত্যা মামলার আসামি। এ মামলার ৫ আসামির মধ্যে জুয়েল খান ও হারুন নামে দুই আসামি ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আটকের পর থেকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। আজ নির্ধারিত শুনানির জন্য তাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাসের সামনে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে সোনালী নামে এক কনস্টেবল আসামি জুয়েল খান ও হারুনকে হাতকড়া পরা অবস্থায় আদালতের নিচতলার হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হ্যান্ডকাপ থেকে হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান আসামি জুয়েল খান।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে পালানো অস্ত্র মামলার আসামি গ্রেফতার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কনস্টেবল সোনালীকে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যশোরের সব এক্সিট পয়েন্টে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। এ ছাড়া শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘আসামি জুয়েল খানকে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর দায়িত্ব অবহেলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’