যশোরে অপহৃত সেই ব্যবসায়ীর পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার

৩ সপ্তাহ আগে
যশোর থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামের পুঁতে রাখা মরদেহ সাতক্ষীরা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামের একটি বাগানে পুঁতে রাখা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অপহরণের এক মাস চার দিন পর ঘাতক সবুজের শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার শ্বশুর খোকন মোল্লাকে আটক করা হয়।


নিহত ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম যশোর শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কের বাসিন্দা।


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রেজাউল অপহরণ মামলায় পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি সবুজকে শনিবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। এরপর তার সহযোগী রিপনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য মতে আজ সাতক্ষীরায় আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ একসরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রেজাউল ইসলামের পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


আরও পড়ুন: ৪০ দিন পর নিখোঁজ গৃহবধূর পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার


পুলিশের সূত্রটি আরও জানায়, সবুজ ও রিপন যশোর শহরেই রেজাউলকে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বস্তাবন্দি করে ইজিবাইকে তুলে কিছু দূর নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে ও পরবর্তীতে বাসে করে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায়। এরপর মরদেহটি তার শ্বশুরবাড়ির পাশে একটি বাগানে পুঁতে রাখেন। কয়েকদিন পর বিষয়টি জানতে পারেন সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লা। তিনি মরদেহটি উত্তোলন করে পাশের আরেকটি বাগানে পুনরায় পুঁতে রাখেন।


পুলিশের অভিযানে আজ দুপুরে ওই বাগান থেকেই রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সবুজের শ্বশুর খোকন মোল্লাকেও আটক করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: ব্রিজের নিচে পুঁতে রাখা ঝালমুড়ি বিক্রেতার মরদেহ উদ্ধার


প্রসঙ্গত, রেজাউল ইসলাম শহরের শংকরপুর ইসহাক সড়কে নিজ এলাকাতেই কাপড় ও টেইলার্সের ব্যবসা চালাতেন। দোকানের পাশেই কামরুল ইসলামের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। এখানে তার পাশের ঘরে বসবাস করতেন একই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে রিপন হাওলাদার ও সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার তালতলা বাজার এলাকার হবি গাজীর ছেলে সবুজ ওরফে রবিউল। একই বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।


পরবর্তীতে রেজাউল ব্যবসার জন্য পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িসহ দুই শতক জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। এরপর সবুজ ও রিপনের সহায়তায় জমিসহ বাড়িটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। ওই টাকা হস্তান্তরের কথা বলে গত ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২টার দিকে রেজাউলকে মোবাইলে ডেকে নেন সবুজ ও রিপন। এরপর থেকে রেজাউল ইসলাম আর বাড়ি ফেরেননি। এ ঘটনায় তার পরিবার জিডি করেন।


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ এনজিও পরিচালকের পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার


খোঁজ না পেয়ে এক সপ্তাহ পর অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে সবুজ, রিপনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সবুজ ও রিপনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা রেজাউলকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেখান থেকেই বেরিয়ে আসে ঘটনার মূলরহস্য।


তিনি আরও বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্রিফ করবেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন