শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর শহরের লাক্সারি ডাইন কনভেশন হলে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারসমূহের সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্য অধিদফতরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সাহেদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাওড়গুলোতে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও মৎস্যজীবীদের রক্ষায় প্রকল্প গ্রহণে মতামত গ্রহণ করা হয়। একইসঙ্গে যশোরাঞ্চলের ২২টি বাওড়কে ঘিরে সব মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তারা ইফাদ প্রকল্পের তালিকাভুক্ত মৎস্যজীবীদের নতুন প্রকল্পের আওতায় এনে প্রকল্প গ্রহণ করলে মামলা প্রত্যাহার করবেন বলে আশ্বাস দেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার।
আরও পড়ুন: অবৈধ ট্রলিং বোটের আধিপত্যে সাগরে মাছ মিলছে না?
তিনি বলেন, ‘মৎস্য মন্ত্রণালয় নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের সুদিন ফেরাতে চান। এ প্রকল্প চালু হলে মৎস্য অধিদফতরের অধীনে প্রশিক্ষণসহ সরকারি সব সুযোগ সুবিধা পাবেন। একইসঙ্গে দেশীয় মাছগুলো বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে এ প্রকল্প ভূমিকা রাখবে।’
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব মো. হেমায়েত হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, মৎস্য অধিদফতরের পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক সরকার মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সরদার মহিউদ্দীন, বাওড় মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আনিসুর রহমান ও জেলা মৎস্য অফিসার সরদার মনিরুল মামুন বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।