সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য তনিমা তাসনুমা।
এ সময় তিনি বলেন, আমার বাবা গোলাম কিবরিয়া ১৯৯৫ সালে ১৭ শতক জমি কিনে মেসার্স গোলাম কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনটি স্থাপন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০২২ সালে তিনি মারা যান। এরপর ২০২৩ সাল থেকে শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার ও তার সহযোগীরা জাল দলিল তৈরি করে পেট্রোল পাম্পটি অনেকবার দখলের চেষ্টা করেন। সর্বশেষ বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একটি হস্তান্তর চুক্তিনামা তৈরি করে।
এ ঘটনায় জাল দলিলের বিরুদ্ধে আমি ও স্বাক্ষর জালের ঘটনায় বিচারক বাদি হয়ে মামলা করেন। ওই মামলা দুটি চলমান থাকলেও থেমে নেই আনোয়ারের দখল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: যশোর বোর্ড: এসএসসির ১৪০ ভেন্যুকেন্দ্রের সবগুলোই বাতিল
তনিমা তাসনুমা বলেন, সবশেষ আনোয়ার গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ফিলিং স্টেশনে ঢুকে পাম্পের চাবিসহ সব কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ম্যানেজারকে পাম্প থেকে বের করে দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে আনোয়ার গং চলে যায়। তবে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পাম্প দখল করার হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এ অবস্থায় সম্পদ রক্ষায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
আরও পড়ুন: যশোরে সিআইডি সদস্যদের ওপর হামলা মামলার আসামি আটক
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি দাবি করেন ৬ কোটি ৮ লাখ টাকা দিয়ে জমি ও পাম্প কিনেছেন তিনি। ১৯৯৯ সাল থেকে পাম্পটি পরিচালনা করছেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পাম্প তার দখলে ছিল। গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী সন্তানরা দলিল ও চুক্তিনামা মানে না। তারা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি ও পুলিশকে দিয়ে আমার কাছ থেকে পাম্পটি দখল করে নিয়েছে।