যমুনা অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত, আমরণ অনশনের ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষকদের

১ সপ্তাহে আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে ঘেরাও কর্মসূচি আজকের মতো স্থগিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে তারা দাবি আদায়ে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা এ তথ্য  জানান। 

 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের অনুরোধে আজকের মত মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

 

শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে শহীদ মিনারে অনশন শুরু করবেন তারা। রোববার থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করা হবে। এরপরেও সরকার যদি দাবি মেনে না নেন, তাহলে পরবর্তীতে আমরণ অনশনের দিকে যাবেন বলেও জানান তিনি।
 

 

এর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে এবং বিকেল ৫টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করা হবে। সবিচালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব কথা বলেন তিনি। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আলোচনায় অংশ নেন।

 

অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন, বিভিন্ন সংস্থার চাপে বৈঠকের নামে আইওয়াশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আববার (সি আর আবরার), এটা শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন।

 

এ সময় তিনি দাবিগুলো আবারও তুলে ধরেন।

 

• তিনটি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
• আগামী বাজেট নয় এ মাস থেকেই কার্যকর করতে হবে।
• বিকেল ৫টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না আসলে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালন করা হবে।

 

আরও পড়ুন: এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন /আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন: শিক্ষক নেতা আজীজি

 

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ওনারা আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি, আমাদের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু উনি তার বক্তব্যে অনড়। বলেছেন- এর বাইরে তিনি পারবেন না। আমরা বলেছি, এখন ১০ শতাংশ দেবেন, পররবর্তী বাজেটে ১০ শতাংশ দেবেন। পুরো বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করতে হবে।

 

দেলোয়ার হোসেন আজীজি বলেন,বাজেটের আগে কয়েক দফায় আমরা চিঠি দিয়েছি, যেন আমাদের শিক্ষকদের বিষয়গুলো দেখা হয়। যে আবেদনে বাড়ি ভাড়া, টিফিন ভাতা, উৎসব ভাতাগুলোও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৩ আগস্টের মধ্যে যদি আমাদের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয়, তবে আন্দোলনে যাওয়া কথাও ছিল। ১১ আগস্ট এনএসআইয়ের পক্ষ থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয়, আপনাদের বাড়ি ভাড়া যেন ২ হাজার করা হয়। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিও লেটার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়, তখন একই বিষয় আমাদের জানানো হয়; যা আমরা প্রত্যাখ্যান করে শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া চাই।

 

এদিকে আজ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়িভাড়া ৫ শতাংশ কিংবা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আববার (সি আর আবরার)।

 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষকরা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ি ভাড়ার দাবি তুলেছেন। তবে সরকার সামর্থ্য অনুসারে ৫ শতাংশ এবং ন্যূনতম ২০০০ টাকা সুপারিশ করছে এখন। নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশে সরকার আগামী বছর শিক্ষকদের আরও সম্মানজনক কাঠামো দিতে সচেষ্ট হবে।

এদিকে টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন করেন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন তারা। একই সঙ্গে সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে কর্মবিরতিও।


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন