সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে ওই কিশোরী ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেয়েটি ভালুকার একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। সন্তানসম্ভবা বড় বোনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে গত ১৮ জুন সকালে সে গৌরীপুরের গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ময়মনসিংহ শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিল সে। ওই সময় চার তরুণ তার সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ তৈরি করে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তাকে ফুসলিয়ে শম্ভুগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যায়।
সেখানে রঘুরামপুর ইউসি হাইস্কুল মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত গুদামঘরে নিয়ে ১৭ ও ২০ বছর বয়সী দুই তরুণ পালাক্রমে ধর্ষণ করে, আর অপর দুইজন বাইরে পাহারায় ছিল বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ, নিখোঁজ সেই ছাত্রদল নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার
জানা গেছে, ধর্ষণের পর মেয়েটি পাটগুদাম সেতু থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে এবং খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েটির চিকিৎসার খরচ বহন করে পুলিশ। এরপর পুলিশ মেয়েটির পরিবার খুঁজে বের করে।
এ ঘটনায় মেয়ের মা ১৯ জুন থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ নগরের শম্ভুগঞ্জ এলাকার ১৭ বছর বয়সী কিশোর ও রঘুরামপুর এলাকার মো. কাইয়ুমকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারের পর আমরা নিজেরা অর্থের জোগান দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। মৃত্যুর মুখোমুখি থেকে মেয়েটি প্রাণে বেঁচেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সোমবার বিকেলে আদালতে নিজের সঙ্গে ঘটা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এরই মধ্যে আমরা দুজনকে গ্রেফতার করেছি, বাকি দুজনকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছি।’
]]>