দারুণ এই স্পেলের পর মেহেদী এরপর আর বোলিংয়ে আসেননি। দলীয় ১৪তম ওভারে পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুলে চোট পাওয়াই তার কারণ। মাঠের বাইরে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হয় ৩০ বছর বয়সি ক্রিকেটারকে। ততক্ষণে বাংলাদেশ ছিল জয়ের দ্বারপ্রান্তে, মেহেদীও সিরিজসেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার হয়ে উঠলেন। ১৪ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৯৬ রান করে উইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ১০৯ রানে অলআউট হয় দলটি। বাংলাদেশ পায় ৮০ রানের জয়।
তিন ম্যাচের সিরিজজুড়ে দারুণ বল করেছেন মেহেদী। কতটুকু দারুণ, পরিসংখ্যান না দেখলে তা বোঝা দুরূহ। প্রতি ৫.৭৫ রান দেয়ার বিপরীতে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তিনি, মোট উইকেটসংখ্যা ৮। ইকোনমি ৪.১৮। তিনিই সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। ব্যাটেও ৩৭টা গুরুত্বপূর্ণ রান করেছেন। ফলে প্রত্যাশিতভাবেই তার হাতে উঠেছে সিরিজসেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন: ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দারুণ টাইগাররা, ধবলধোলাই ক্যারিবীয়রা
পুরো সিরিজ বিবেচনায় নায়ক মেহেদী হলেও শেষ ম্যাচে সবচেয়ে উজ্জ্বল জাকের আলী অনিক। তার ঝড়ে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও স্বাগতিকদের ১৯০ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জাকের ৪১ বলে খেলেন ৭২ রানের ইনিংস। যে ইনিংসে চারের চেয়ে ছয়ই বেশি। ৩ চারের পাশাপাশি তার ছয় ৬টি। ফলে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন তিনি।
ক্যারিবীয়ান সফরে মেহেদী কেবল টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেললেও জাকের তিন ফরম্যাটের দলেই ছিলেন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। লঙ্গার ফরম্যাটে ১৭৬ ও টি-টোয়েন্টিতে ১২০ রান করেছেন। ওয়ানডেতে ১১৩ রান নিয়ে হয়েছিলেন পঞ্চম সর্বোচ্চ সংগ্রাহক।