ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফোনালাপকালে ইরানের পরমাণু ইস্যু আলোচনা হয়েছে। তিনি ও পেজেশকিয়ান ইউরোপীয় ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনা ‘ত্বরান্বিত’ করতে সম্মত হয়েছেন।
ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি দাবি জানাচ্ছি, ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না এবং তাদেরকে এমন এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার এবং বৃহত্তর বিপদ এড়ানোর একটি উপায় আছে।’ সম্প্রতি পেজেশকিয়ান বারবার বলেছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে না।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরি নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ‘ভুল’: ট্রাম্প
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমাদের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। ইরান বরাবর বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘শান্তিপূর্ণ’। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলো বলছে, তেহরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। একই বক্তব্য ইসরাইলেরও।
এই দ্বন্দ্বের অবসানে অনেক কূটনৈতিক দৌঁড়ঝাপের পর ২০১৫ সালে ঐতিহাসিক ইরান পরমাণু চুক্তি সই হয়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও তাতে স্বাক্ষর করে চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন ও ইইউ। ওই চুক্তির আওতায় তেহরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলে তাদের ওপর থেকে বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। পরমাণু ইস্যুতে নতুন চুক্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও তেহরান নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনার মধ্যেই ইরানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল।
আরও পড়ুন: ইরান ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে: তুলসী গ্যাবার্ড
]]>