রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আখাতার বলেন, আজকের আলোচনায় মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য হতে অনেক দূরে থাকতে হয়েছে। বিএনপির আপত্তির জন্য সাংবিধানিক পদের নিয়োগ কমিটি গঠন করা যায়নি। মৌলিক সংস্কার বিএনপিসহ কয়েকটি দলের জন্য আটকে আছে বলেও জানান তিনি।
ঐকমত্য কমিশনের নমনীয়তার বিষয় তুলে শঙ্কা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাতে হয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টা যে কতটা নমনীয়তার জায়গায় পর্যবসিত হয়েছে সে বিষয়টা আমাদের আশঙ্কায় ফেলেছে। আমরা দেখছি, যে বিষয়গুলো এখানে মৌলিক সংস্কৃতির ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, সেই বিষয়গুলোতে ‘কোড-আনকোড’ বিএনপি বা তার সঙ্গের আরও কয়েকটি দল দ্বিমত পোষণ করছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা হয়ে যাওয়ার পরেও সেসব বিষয় অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে। হাউজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমাদের জন্য একটা আশঙ্কার জায়গা তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: মত-দ্বিমতে আটকে যাচ্ছে সংস্কারের ঐক্য, তবু আশা ছাড়েনি কমিশন
এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা এমন এক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম যে বাংলাদেশে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে, বিকেন্দ্রীকরণ থাকবে। যদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে যদি প্রধানমন্ত্রীর করায়ত্ত করা হয় পূর্বের মতো করে, তাহলে আমাদের এই ঐক্যবদ্ধ কমিশনে বসা, এত মানুষের জীবন দেয়া তার আলাদা করে কোনো অর্থ থাকে না।
তিনি বলেন, আমরা খুব স্পষ্ট করে বলেছি যে- উচ্চকক্ষ অবশ্যই সংবিধান সংশোধনের জন্য। আমরা বলেছি, নিম্নকক্ষেও সেখানে টু থার্ড মেজরিটি লাগবে। উচ্চকক্ষেও টু থার্ড মেজরিটি লাগবে এবং সংবিধানের মৌলিক কিছু বিষয়বস্তু আছে।
]]>