তিনি হত্যাকাণ্ডের পরপরই পালিয়ে গিয়ে আদমপুর ইউনিয়নের মধুভাগ নামক এলাকায় আত্মগোপনে ছিলো।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অবশেষে পুলিশ বুধবার (০৪ জুন) বিকালে তাকে গ্রেফতার করে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের জড়িত আরও ২ জন আসামিকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির দুটি হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করে জানান, ৩ জুন বিকেল ৫ টায় হত্যাকাণ্ডের পর নিহত শারমিন বেগমের স্বামী শহীদ মিয়া কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে মূল আসামি মাসুক আলী তার স্ত্রী রাহেলা বেগম ও তার মেয়েসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: চাচার দা’য়ের কোপে দুই ভাতিজি নিহত, মা আশঙ্কাজনক
উল্লেখ্য, জমিজমা নিয়ে মাসুমা আক্তার ও শারমিন বেগমের আপন চাচা মাসুক আলীর সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাসুক আলী ও রাহেলা বেগম উত্তেজিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে দুুই ভাতিজি ও তাদের মা হাজেরা বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে দুই ভাতিজির মৃত্যু হয়। গুরুতরভাবে আহত হন হাজেরা বেগম। তাকে চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও সংকট জনক।
পুলিশ বলছে, অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।