১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে দিল্লি। প্লে-অফে জায়গা করে নিতে তাদের থাকতে হবে সেরা চারে। হাতে আছে তিন ম্যাচ। তবে এ ম্যাচগুলোতে তারা পাচ্ছে না মূল বোলিং অস্ত্র স্টার্ককে।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে দেশে ফিরে গিয়েছিলেন স্টার্ক। সংঘাত বিরতির পর তিনি আর না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাতে কিছুটা চাপে পড়েছে দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে নির্ভর করতে হবে মোস্তাফিজুর রহমানের উপরে। জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কের বদলে টাইগার পেসারকে দলে ভিড়িয়েছে দিল্লি।
রোববার (১৮ মে) সকালে দিল্লি শিবিরে যোগ দিয়ে সন্ধ্যায় গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসারের। সুযোগ পেলে তিনি কি পারবেন স্টার্কের অভাব পূরণ করতে? অতীত পরিসংখ্যান ও রেকর্ড অবশ্য তার পক্ষেই কথা বলছে। বর্তমানেও আছেন দারুণ ছন্দে। দিল্লি শিবিরে যোগ দেওয়ার আগের দিন শারজায় বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতাতে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট।
আরও পড়ুন: আইপিএল থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় স্টার্ক কত টাকা হারাচ্ছেন
আর আইপিএলের রেকর্ড টানলে নির্ভর করতেই পারে দিল্লি। এখন পর্যন্ত ৫৭টি আইপিএল ম্যাচের ৫৭টি ইনিংসে বল করে ৬১টি উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন ১ বার। বোলিং গড় ২৮.৮৮, স্ট্রাইক-রেট ২১.২। সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ২৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট। মোস্তাফিজ আইপিএলে ওভার প্রতি ৮.১৪ রান করে খরচ করেছেন।
স্টার্কের সঙ্গে তুলনা টানলে খুব বেশি পার্থক্য পাওয়া যাবে না টাইগার পেসারের। বরং ইকোনমিতে তিনি স্টার্কের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন। স্টার্ক এখন পর্যন্ত ৫২টি আইপিএল ম্যাচের ৪৯টি ইনিংসে বল করে ৬৫টি উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন ২ বার। বোলিং গড় ২৩.১২, স্ট্রাইক-রেট ১৬.১। সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ৩৫ রানে ৫ উইকেট। স্টার্ক আইপিএলে ওভার প্রতি ৮.৬১ রান করে খরচ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘জীবনের নিরাপত্তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আইপিএলের চেক নয়’
মোস্তাফিজের বিশেষত্ব অবশ্য ডেথ ওভারে। যেখানে বেশ কার্যকরী টাইগার পেসার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বলের অধিকারী তিনি। তুলে নিয়েছেন ৩০০ ডট। ডেথ ওভারে উইকেট নেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে তিনি। টিম সাউদির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। সুতরাং স্টার্কের জায়গায় মোস্তাফিজকে ভরসা করতেই পারে দিল্লি।
]]>