রাজধানীর পথে প্রান্তরে দেখা মেলে ক্লান্তিতে ছোট্ট শরীর এলিয়ে পড়ছে রেলস্টেশনে, পার্ক কিংবা ফুটওভার ব্রিজে। পরিবার টানতে টানতে হারিয়ে গেছে শৈশবের রঙটাই। আর তাই অবহেলিত এই শিশুদের জীবনে রং ছড়াতে ছুটে চলছে মোবাইল স্কুল। এটি দেখলেই ছুটে আসে শিশুরা। খেলার ছলে শিখে নেয় বর্ণমালা। ছবি আঁকে। জট খোলে গণিতের। আনন্দে ভাসে নিষ্পাপ জীবন।
ইউরোপীয় ধরণ অনুসরণ করে কমলাপুর, সদরঘাট, রায়েরবাজার ও মিরপুরের বিভিন্ন স্থানে নির্ধারিত সময় হাজির হয় মোবাইল স্কুল। সেখানে মানসিক সহায়তা পেয়ে থাকে প্রান্তিক শিশুরা। জানতে পারে স্বাস্থ্যের নানা দিক।
আরও পড়ুন: ২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে চালু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রম
শিক্ষকরা বলছেন, এটা শুধু স্কুল নয়, শিশুদের ভ্রাম্যমাণ আশ্রয়ের জায়গাও। এ বিষয়ে স্ট্রিট এডুকেটরের শিক্ষক নিজাম হোসেন বলেন,
মানবিক বাস্তব মূল্যবোধ নামে একটা কারিকুলাম আছে, যেটা লিডো তৈরি করেছে। সেই কারিকুলামটি মোবাইল স্কুলের মাধ্যমে প্রয়োগ করি। শিশুরা যখন রাস্তায় থাকতে চায়, তখন তাদেরকে এই মোবাইল স্কুলের মাধ্যমে মোটিভেট করতে চাই যে রাস্তায় থেকেই কীভাবে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করবে। এছাড়া নিদেরেকে তারা কীভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করি।
মোবাইল স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, কার্যক্রম বাড়াতে দরকার পৃষ্ঠপোষকতা।
আরও পড়ুন: চবি ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন
লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা আছেন এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পৃষ্ঠপোষকতা করলে আমরা ছাড়াও আরও অনেকে এই ধরনের কাজ করতে পারবে। কারণ মোবাইল স্কুলের মাধ্যমে ঝরে পড়া শিশুদের খুব কাছে যাওয়া যায়।’
কার্যক্রম পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্থানীয়দের সহায়তা চান স্কুল পরিচালনাকারীরা।
]]>