বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় থানা কমপ্লেক্সের দুটি কক্ষসহ পুলিশের পিকআপ। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার (৭ মে) নড়িয়া কাগজপত্রবিহীন ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মোটরসাইকেল ছাড়িয়ে নিতে থানায় আসেন স্থানীয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ সময় রেজিস্ট্রেশনের বৈধ কাগজ না থাকায় মোটরসাইকেল ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে থানায় হামলা করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ভাঙচুর চালানো হয় থানা গেটের সামনের কমপ্লেক্সের দুটি কক্ষে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মো. বিল্লাল নামে এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক একই যুবক
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাতে আমরা কয়েকটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছিলাম, মোটরসাইকেলগুলোর কোনো কাগজপত্র ছিল না। বৃহস্পতিবার রাতে তারা মোটরসাইকেলগুলো ছাড়তে থানায় এসেছিল। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চাইলে তারা দিতে ব্যর্থ হয়। তখন গাড়িগুলোকে ছেড়ে না দেয়ায় সংঘবদ্ধ হয়ে থানার দুটি কক্ষ, থানায় ব্যবহৃত পিকআপ ভাঙচুরসহ আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে আহত করেন। তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি, তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’