মোগল বাদশাহ শাহজাহানের অমর কীর্তি দিল্লি জামে মসজিদ

১ সপ্তাহে আগে
ভারতবর্ষ পেরিয়ে বিশ্বের বুকে এ মসজিদ প্রসিদ্ধ। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ নর-নারী দিল্লি সফর করে থাকে। দিল্লিতে কয়েকটি ধর্মীয় ও দর্শনীয় স্থানের মধ্যে দিল্লি জামে মসজিদ অন্যতম।

বাদশাহ শাহজাহান এ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু করেন ১৬৫০ সালে। এ বিশাল ধর্মীয় স্থাপত্যশৈলী নির্মাণ সম্পন্ন হয় ১৬৫৬ সালে। এটি ভারতবর্ষের অত্যন্ত মনোরম বিশাল জামে মসজিদ, এ মসজিদ মুসলমানদের গর্ব। বাদশাহ শাহজাহান ১০৬০ হিজরি ১০ শাওয়াল শুক্রবার দিল্লি জামে মসজিদের নির্মাণকাজের সূচনা করেন।

 

১৬৩৮ সালে ভারতের রাজধানী আগ্রা থেকে দিল্লি স্থানান্তর করেন বাদশাহ শাহজাহান। তিনি দিল্লিকে সাজাতে কার্পণ্য করেননি। এ মসজিদের আজানখানা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়, যাতে আজানের শব্দ লাল কেল্লায় বসে বাদশাহ শাহজাহান শুনতে পান।

 

দিল্লির জামে মসজিদ বিশাল বিশাল তিন গম্বুজ বিশিষ্ট, মধ্যখানে মিহরাব ও মোগল স্টাইলে মিম্বার। পূর্ব দিক উন্মুক্ত। মসজিদের বিশাল উঠান মূল মসজিদ থেকে তিন-চার ফুট নিচে। 

 

আরও পড়ুন: আল্লাহ যে জাতিকে ভয়ংকর ভূমিকম্প দিয়ে ধ্বংস করেছিলেন
 

 

মসজিদের এ বিশাল চত্বরের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ সমান, তথা উত্তর-দক্ষিণ ১০৯ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিম ১০৯ মিটার। ঠিক মধ্যখানে একটি পানির হাউস, যা নামাজিদের অজু করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এখানে পানি পার্শ্ববর্তী একটি কূপের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।

 

বর্তমানে মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব একটি মুসলিম সংস্থার ওপর। কিন্তু তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় শাহি ইমাম ভারত সরকারের কাছে বড় ধরনের ভার নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। 

 

ফলে তখনকার প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওয়াহেরলাল নেহরুর নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯৫৩ সালে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এ বিশাল মসজিদকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট পেশ করে। ফলে ১৯৫৬ সালে এ মসজিদ সংস্কারে ভারত সরকার অবদান রাখে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এ সংস্কারে সময় নেয়। এখন পর্যন্ত সেভাবেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন