মোংলায় শ্রমিকদের নেতৃত্ব নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮

৩ সপ্তাহ আগে
মোংলায় বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের নেতৃত্ব নিয়ে দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান ও পাল্টাপাল্টি সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নারী সদস্যসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে মোংলা শ্রমিক সংঘ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

 

ঘটনার পর মোংলা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

 

পুলিশ ও আয়োজক সূত্র জানায়, মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘের নেতৃত্ব নিয়ে তিতুমীর চোকদার ও মোঃ আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের ধারাবাহিকতায় তিতুমীর চোকদার তার সমর্থকদের নিয়ে এক সভা ডাকেন। একই স্থানে একই সময়ে প্রতিপক্ষ আলাউদ্দিন গ্রুপও সমাবেশ আহ্বান করে।

 

সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিকাল ৩টা থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে শ্রমিকদের জটলা দেখা যায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শ্রমিক সংঘের চারপাশে মোতায়েন করা হয় যৌথ বাহিনী।

 

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকাফেরত জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংয়ের সেন্ট্রাল কমিটির জয়েন্ট কো-অর্ডিনেটর মোশাররফ হোসেন স্বপনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল এলে প্রতিপক্ষ শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতি। এতে তিতুমীর চোকদার, এনসিপির এক নারী সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত আটজন আহত হন।

 

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কার দাবিতে মোংলায় বিক্ষোভ

 

আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

আলাউদ্দিন গ্রুপের অভিযোগ, তিতুমীর চোকদার বর্তমানে শ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করে সভার আয়োজন করেছেন এবং বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন।

 

তিতুমীর চোকদার বলেন, ‘শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং সংগঠনকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষ্যে সভা আহ্বান করা হয়েছিল। অথচ প্রতিপক্ষ আমাদের ওপর হামলা করেছে।’

 

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি এড়াতে শহরজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নৌবাহিনীর টহলও চলছে।’

 

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক জারিকৃত এক অধ্যাদেশে বন্ধ হয়ে যায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন