মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত নারী কাকলী বেগমকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর কাকলী বেগম মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোংলার নারিকেলতলা পাকখালী আবাসনে কাকলী বেগমের নামে একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। কিছুদিন সেখানে বসবাসের পর তার ছেলে হাত ভেঙে গেলে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় চলে যান। ফেরার পর দেখেন, শহিদুল ইসলাম, খুশি বেগম ও আম্বিয়া বেগমসহ প্রতিপক্ষরা জোরপূর্বক ঘরটি দখল করে নিয়েছে। ঘর ছাড়তে বললে তারা উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন কাকলী বেগম।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার হরতালে স্থবির মোংলা বন্দর, আটকে আছে শতাধিক নৌযান
অভিযোগে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে বড় বোন মর্জিনা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে মর্জিনা বেগমের ডান চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) মানিক চন্দ্র গাইন বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের সামনে মারামারির ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যদি ঘর দখলের বিষয়টি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
]]>