রোববার (২৫ মে) বিকেল এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এই ২৭ বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। পরিবেশ অনুযায়ী বেশ কিছু বন্যপ্রাণী এখান থেকে অবমুক্ত করে দেয়া হয়। বাকিগুলো সঙ্গে নিয়ে যায় অভিযানকারী দলটি।
উদ্ধার করা প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২ টি হনুমান ২টি বানর, ৮টি কালেম, সজারু একটি, একটি অজগর, একটি হরিয়াল ৪ টি মুনিয়া, টিয়া একটি, একটি কচ্ছপ ও ৪ টি বালি হাঁস।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল সাদিক জানান, সারা দেশের চিড়িয়াখানা, রিসোর্ট ও মিনি পার্কে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। যেখানেই বন্য প্রাণী পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগরের মনোরমা মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে ২৭ টি বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়। সেগুলোর মধ্যে মেহেরপুরের পরিবেশ উপযোগী বানর, হনুমান, কচ্ছপ, সজারু, টিয়া, হরিয়াল, বালি হাঁস ও মুনিয়া পাখি অবমুক্ত করে দেয়া হয়। বাকি অজগর ও কালিম পাখির সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবেশ উপযোগী বাসস্থানে তাদেরকে অবমুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: বন অধিদফতরের অভিযানে ৭৩ কচ্ছপ উদ্ধার
তিনি আরও জানান, জানুয়ারি থেকে চলতি মাস পর্যন্ত মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি, স্বপ্নপুরিসহ দেশের ৮ টি মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখান থেকে ৭৬ টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি বন্যপ্রাণীর পাচারের সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। তারা যতোবড়ই শক্তিশালী হোক আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক অসিম মল্লীকসহ ঢাকা ইউনিটের সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেয়।
তবে মনোরমা মিনি চিড়িয়াখানার মালিক তাহাজ উদ্দীন জানান, দেড় বছর আগে এ বন্যপ্রাণী ও চিড়িয়াখানাটি অন্য মালিকের সাথে কিনেছিলেন। এখন এর লাইসেন্স সম্পর্কে কিছুই জানেন না। যে কাগজপত্রগুলো তারা দিয়েছেন সেগুলো যত্ন করে রেখে দিয়েছেন। সেগুলো দেখিয়েছি কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।