শনিবার (১০ মে) দুপুরে মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ে ভুয়া চিকিৎসক তাফহিমুল হুছাইন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল।
আর ভুয়া চিকিৎসকের সহযোগী সাগর আলীকে (২৩) এক মাসের কারাদণ্ড ও গাড়ি চালক ইমনকে (২৫) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তাফহিমুল হুছাইন ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রাামের মনিরুজ্জামানের ছেলে, সাগর আলী গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের ইয়ারুল ইসলামের ছেলে ও গাড়ি চালক ইমন একই উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: সময় সংবাদের অনুসন্ধানের পর বরিশালে ভুয়া চিকিৎসককে ১ বছরের কারাদণ্ড
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানায়, তাফহিমুল বেশ কয়েক মাস ধরে গাংনীতে অবস্থান করছিলেন। নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে গাংনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে চোখের ছানিপড়ার চিকিৎসা ও অপারেশন করে দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। তার এ প্রতারণার কাজে ব্যবহার করছিলেন ‘হামিদুল ইসলাম প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে।
জেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে এ স্বেচ্ছোসেবী সংগঠনের নামে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা ক্যাম্প বসাতেন তিনি।
শনিবার (১০ মে) দুপুরে মুজিবনগর উপজেলার যতারপরু গ্রামের একটি হোটেলে চক্ষু চিকিসাসেবা নামে একটি ক্যাম্প করছিলেন। এ সময় সাধারণ মানুষের মাঝে সন্দেহ তৈরি হলে তাদের আটকে রেখে খবর দেয়া হয় পুলিশকে। পরে ঘটনাস্থলে যায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল।
ভুয়া চিকিৎসক তাফহিমুল হুছাইনের কাগজপত্র চাইলে কিছুই দেখাতে পারেননি। এমনকি তার বিএমডিসির নিবন্ধন ঘেটে দেখা যায়, অন্য একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের নিবন্ধন ব্যবহার করছেন তিনি। এ সময় আটক করা হয় তাফহিমুল, তার সহকারী সাগর আলী ও গাড়ি চালক ইমনকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের জেল-জরিমানা করা হয়।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুপ্রিয়া গুপ্তসহ পুলিশের একটি দল।