মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে সিন্দুরকৌটা ও তেরাইল এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সিন্দুরকৌটা এলাকায় মাটি বহনকারী ট্রলির চাপায় নিহত শিশু মোস্তাফিজুর রহমান (১১) এবং তেরাইল এলাকায় চলন্ত দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত সোহাগ।
আহতরা হলেন গাংনী পল্লী সহায়ক ব্যাংকের মাঠকর্মী ও তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে আমজাদ হোসেন (৩৮) এবং কাজিপুরের বুড়িপোতা পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে তারিক (৪০)। আহতদের মধ্যে তারিকের অবস্থা গুরুতর।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে সোহাগ ও তারিককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে পৌঁছার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ
আহত আমজাদ হোসেন জানান, তিনি তার মোটরসাইকেলযোগে বামন্দী যাচ্ছিলেন। পথে তেরাইল এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে সোহাগ ও তারিকের মোটরসাইকেল সজোরে ধাক্কা দিলে তিনজনই ছিটকে পড়ে আহত হন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ ও তারিকের মাথা ও চোখে গুরুতর আঘাত ছিল। অচেতন অবস্থায় তাদের কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়।’
অন্যদিকে সিন্দুরকৌটা ব্রিজের পাশে সাইকেলযোগে বামন্দী যাচ্ছিল শিশু মোস্তাফিজ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাটি বহনকারী একটি ট্রলি তাকে চাপা দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়ায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘পৃথক দুর্ঘটনায় চারজন আহত ও দুইজন নিহতের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>