শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিয়ের সব আয়োজন শেষ, অতিথিরা ভরপুর, কনে মেহেদি রাঙা হাতে সাজানো মঞ্চে প্রস্তুত—কিন্তু বর আর এলেনই না। হঠাৎ এই অনুপস্থিতি শ্যাফিকাহ ও তার পরিবারকে অপমানের মুখে ফেলে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শ্যাফিকাহ বলেন, ‘শুক্রবারই আমার দ্বিতীয়বার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর না আসায় বুঝতে পারলাম, সম্ভবত কপালেই নেই।’
আট মাস আগে শ্যাফিকাহর পরিচয় হয় ৩৬ বছর বয়সি ওই পাত্রের সঙ্গে তার নিজের রেস্তোরাঁতে। সম্পর্কে ভালোভাবে চললেও বর আগেই জানিয়েছিলেন, তার বাবা এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। তবুও বরের ভালোবাসা ও আশ্বাসে বাধা উপেক্ষা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্যাফিকাহ। এমনকি বুটিকে গিয়ে বিয়ের পোশাকও পরখ করেন তারা। বিয়ের আগের দিনও বর এসে জানান—তিনি বিয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ১০ মাসে ৪৩ হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসী আটক
কিন্তু বিয়ের সকাল থেকে বর আর তার মেসেজের উত্তর দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে শুধু ‘রিড’ করেন। ইমাম সাহেব বিয়ে পড়াতে এসেছিলেন এবং এক হাজার অতিথি মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তবুও বরের কোনো খোঁজ নেই। দীর্ঘ অপেক্ষার পর অনুষ্ঠান বাতিল করতে বাধ্য হন পরিবারের সদস্যরা।
সাজসজ্জা, খাবারের আয়োজন, মঞ্চ, কার্ড—সব কিছুর খরচ শ্যাফিকাহ আগেই পরিশোধ করেছিলেন। তার খাবারের দোকান থেকে জমানো প্রায় ১২ হাজার রিঙ্গিত ক্ষতি হয়েছে। ১৩ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত বৌভাতের অনুষ্ঠানও বাতিল করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কারখানায় অভিযান, ৪৫ বাংলাদেশিসহ ১২৩ বিদেশি আটক
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট এবং পিতৃহীন শ্যাফিকাহ জানান, তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাই–বোনরাই তার প্রধান ভরসা। আট মাস আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলেও তাদের সম্পর্ক এখনো ভালো।
শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতারিত বোধ করে নোর শ্যাফিকাহ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে কুবাং পাসু জেলা পুলিশ কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিতে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করছেন তিনি।
তথ্যসূত্র: নিউ স্ট্রেইট টাইমস
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·